আমরা যখন কোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও নিয়ে কথা বলি তখন এটিকে দু’ভাগে ভাগ করে থাকি। এটি হলো অনপেজ ও অফপেজ অপটিমাইজেশন। অফপেজ অপটিমাইজেশনে মূলত ঐ সাইটের ব্যাকলিংক ও সোশ্যাল সিগন্যাল বেশি গুরুত্ব পায়।
বিশেষকরে আমরা যখন এসইআরপি র্যাংকিং এ ভালো করতে চাই তখন আমাদের বিভিন্ন অথরিটি সাইট থেকে কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়ার দরকার পড়ে। আমরা সার্চ ইঞ্জিন ট্রাফিকের গুরুত্ব সম্পর্কে জানি। আর হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক একটি সাইটের র্যাংকি বাড়ানো ও সার্চ ইঞ্জিন ট্রাফিক বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। আর্নট্রিক্সের পাঠকদের কথা বিবেচনা করে এই পোস্টটিতে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়ার ৫০টি উপায় সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। আশাকরি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ সহায়ক হবে।
তবে ৫০টি উপায় বলার আগে আরেকটি কথা না বললেই নয়! আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, ২০১২ সালে গুগলের একটি পেঙ্গুইন আপডেট আনা হয়, সেখানে স্প্যাম ও পেইড ব্যাকলিংককে টার্গেট করা হয়েছে। তাই এ ধরণের ব্যাকলিংক সাইটের র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব ফেলবে।
আর হ্যাঁ, আপনি যখন আপনার ব্যাকলিংক তৈরি করবেন, অবশ্যই লিংক কোয়ালিটি ও অ্যাংকর টেক্সট ভেরিয়েশনের দিকে খেয়াল রাখবেন। আপনার হোমপেজে ব্যাংকলিংক তৈরির দিকে বেশি নজর না দিয়ে সাইটের ইন্টারন্যাল পেজের ব্যাকলিংক তৈরিতে বেশি গুরুত্ব দেবেন। আপনি রিসোর্স পেজ যেমন বিভিন্ন গাইডলাইন মূলক পেজে ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে একটি বা দুইটি কিওয়ার্ড সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। এই ধরণের পোস্ট বেশি ইফেক্টিভ হয়।
ব্যাকলিংক তৈরির ক্ষেত্রে যে বিষয়টি এড়িয়ে চলবেন-
বিশেষকরে আমরা যখন এসইআরপি র্যাংকিং এ ভালো করতে চাই তখন আমাদের বিভিন্ন অথরিটি সাইট থেকে কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়ার দরকার পড়ে। আমরা সার্চ ইঞ্জিন ট্রাফিকের গুরুত্ব সম্পর্কে জানি। আর হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক একটি সাইটের র্যাংকি বাড়ানো ও সার্চ ইঞ্জিন ট্রাফিক বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। আর্নট্রিক্সের পাঠকদের কথা বিবেচনা করে এই পোস্টটিতে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়ার ৫০টি উপায় সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। আশাকরি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ সহায়ক হবে।
তবে ৫০টি উপায় বলার আগে আরেকটি কথা না বললেই নয়! আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, ২০১২ সালে গুগলের একটি পেঙ্গুইন আপডেট আনা হয়, সেখানে স্প্যাম ও পেইড ব্যাকলিংককে টার্গেট করা হয়েছে। তাই এ ধরণের ব্যাকলিংক সাইটের র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব ফেলবে।
আর হ্যাঁ, আপনি যখন আপনার ব্যাকলিংক তৈরি করবেন, অবশ্যই লিংক কোয়ালিটি ও অ্যাংকর টেক্সট ভেরিয়েশনের দিকে খেয়াল রাখবেন। আপনার হোমপেজে ব্যাংকলিংক তৈরির দিকে বেশি নজর না দিয়ে সাইটের ইন্টারন্যাল পেজের ব্যাকলিংক তৈরিতে বেশি গুরুত্ব দেবেন। আপনি রিসোর্স পেজ যেমন বিভিন্ন গাইডলাইন মূলক পেজে ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে একটি বা দুইটি কিওয়ার্ড সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। এই ধরণের পোস্ট বেশি ইফেক্টিভ হয়।
ব্যাকলিংক তৈরির ক্ষেত্রে যে বিষয়টি এড়িয়ে চলবেন-
- ফুটার থেকে বড় ধরণের লিংক ব্যবহার করবেন না।
- এক্সাক্ট অ্যাংকর টেক্সট কেনা থেকে বিরত থাকবেন।
- বিভিন্ন সাইট থেকে (যেমন ফিভার) বাল্ক লিংক কেনা থেকে বিরত থাকবেন।
- লিংক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করবেন না।
- ব্লগরোল লিংক ব্যবহারে বিরত থাকুন।
- আর্টিকেল ডিরেক্টরি লিংক ব্যবহার ততোটা কার্যকরী নয়, তাই এটি ব্যবহারে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।
উপরের বিষয়গুলো মনে রেখে আপনার সাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করা শুরু করতে পারেন। তবে একটি কথা না বললেই নয়, গেস্ট পোস্ট ব্যাকলিংক তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এটি আপনার ওয়েবসাইটে ভালো ট্রাফিক আনতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
এখন আসুন জেনে নিন কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরির ৫০ কিলার উপায়-
1. অন্যব্লগে গেস্ট পোস্ট করুন।
2. ডুফলো ব্লগে কমেন্ট করুন।
3. রিলেভ্যান্ট ফোরামের আলোচনায় অংশ নিন এবং আপনার ব্লগ পোস্টের লিংক ব্যবহার করুন।
4. ফোরাম সিগনেচারে আপনার ব্লগ লিংক যুক্ত করুন (অবশ্যই হাই কোয়ালিটি ফোরামে)।
5. জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ সাইট যেমন- ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, ডিগ সাইটগুলোতে আপনার সাইটের অ্যাক্টিভিটি বাড়ান।
6. বিভিন্ন ডিসকাশন বোর্ড যেমন কিয়োরাতে আপনার ব্লগ লিংক যুক্ত করে ডিসকাশন বাড়ান।
7. ব্লগিং কমিউনিটিতে আপনার সাইটটি যুক্ত করে অ্যাক্টিভিটি বাড়ান। এক্ষেত্রে ব্লগ এনগেজ, এমএমও সোশ্যাল নেটওয়ার্ক উল্লেখযোগ্য।
8. বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর সাইটে যেমন – ইয়াহু অ্যান্সার এ আপনার সাইট সম্পর্কিত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন।
9. এসব কোশ্চেন, অ্যান্সার সাইটে বিভিন্ন উত্তর দিন এবং আপনার সাইটের রিলেটেড বিভিন্ন লিংক দিন।
10. আর্টিকেল পাবলিশ করার সময় সাইটের রিলেটেড অন্য পোস্টের সাথে ইন্টারলিংক করুন।
11. আপনার নিচ রিলেটেড অন্য ব্লগ সাইটের সাথে লিংক এক্সচেঞ্জ করতে পারেন, তবে এটি অবশ্যই যেনো ন্যাচারাল হয় এবং লিংক পিরামিড ফর্ম মেনে করতে হবে।
12. আপনার ব্লগটি টপ ব্লগিং ডিরেক্টরিতে সাবমিট করুন (এখানেও কোয়ালিটি নিশ্চিত হতে হবে)।
13. বিভিন্ন ওয়েব ডিরেক্টরিতে আপনার ব্লগ সাবমিট করুন।
14. টপ নিশ ডিরেক্টরিতে আপনার ব্লগগ সাবমিট করুন।
15. আপনার বন্ধুদেরকে আপনার সাইটে/ সামাজিক যোগাযোগ সাইটের পেজে সংযুক্ত হতে বলেন।
16. ভালোমানের সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইটগুলোতে আপনার ব্লগ পোস্টগুলো সাবমিট করুন।
17. টপ সোশ্যাল নেটওয়াকিং সাইটগুলোতে আপনার সাইটটি যুক্ত করুন।
18. আপনার ব্লগ আর্টিকেলগুলো স্টাম্বলআপন এ সাবমিট করুন।
19. ডিগ এ আপনার ব্লগ সাবমিট করুন। এটি ডুফলো লিংক দেয় এবং গুগল ক্রাউলের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে।
20. টপ সোশ্যাল বুকমাকিং সাইটগুলোতে আপনার ব্লগকে ভাইরাল করুন। কারণ এক একটি অথরিটি সাইট থেকে যে কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়া যায় তা হাজারো সাধারণ ব্যাকলিংক থেকে উত্তম।
21.ফিডার সাইটগুলোতে আপনার ব্লগের আরএসএস ফিড যুক্ত করুন।
22. প্রেস রিলিজ সাইটগুলোতে প্রেস রিলিজ সাবমিট করুন।
23. আরএসএস ডিরেক্টরিতে আপনার আরএসএস ফিড সাবমিট করুন।
24. প্রায় প্রতিটি ফোরামেই ওয়েব সাইট রিভিউ ফোরাম আছে, সেখানে আপনার ব্লগের রিভিউ দিন।
25. যদি আপনি থিম ডেভেলপমেন্ট জানেন, তাহলে একটি ফ্রি থিম রিলিজ করুন এবং থিমের ফুটারে আপনার ব্লগ লিংকটি যুক্ত করে দিন। (সম্ভব না হলে দরকার নেই)
26. যদি পারেন তাহলে একটি ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন তৈরি করুন এবং সেখানে আপনার ব্লগ লিংকটি যুক্ত করুন।
27. একটি সফটওয়্যার অথবা ইবুক রিলিজ করুন এবং এটি .exe তে কম্পাইল করে টপ সফটওয়্যার শেয়ারি সাইট যেমন ডাউনলোড ডটকম, ব্রাদারসফট ও সাবমিট করুন।
28. আপনার ব্লগ পোস্টগুলো দিয়ে একটি পিডিএফ বই তৈরি করুন এবং ডকুমেন্ট শেয়ারিং সাইটে সাবমিট করুন।
29. টপ কোম্পানি ও প্রোডাক্ট সম্পর্কে রিভিউ লিখুন, তাহলে তারা আপনাকে ব্যাকলিংক দিতে পারে।
30. প্রতি সম্পাহে অন্তত একটি পোস্ট পাবলিশ করুন যাতে বিভিন্ন সাইট বা ব্লগারের রিসোর্স থাকে (লিংকসহ) এবং এই পোস্টটি ঐসব ব্লগারদের সাথে শেয়ার করুন। তাহলে তারাও আপনার সম্পর্কে আগ্রহী হবে।
31. টপ ব্লগারদের ইন্টারভিউ পাবলিম করেন এবং সেটি শেয়ার করার অনুরোধ জানান। এতে তাদের ফ্যানরাও আপনার সাইট সম্পর্কে জানতে পারবে।
32. মার্কেটারদের টেস্টিমোনিয়াল দিন এবং সেখানে আপনার ব্লগ লিংক যুক্ত করুন। এরফলে তারাও আপনাকে ব্যাকলিংক দিতে পারে।
33. আপনার ব্লগের প্রমোট করতে ওয়েব ২.০ সাইটগুলোর ব্যবহার করুন।
34. আপনার ব্লগ পোস্ট কার্নিভালস এ সাবমিট করুন।
35. হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট লিখুন এবং এগুলো থেকে স্টং ব্যাকলিংক পাবেন।
36. আলোচিত বা বিতর্কিত বিষয় সম্পর্কে লিখতে চেষ্টা করুন।
37. নিউজ পোস্ট পাবলিশ করার চেষ্টা করুন এবং এটি সবার আগের পাবলিশ করার চেষ্টা করুন।
38. আপনার ব্লগকে সিএসএস ডিরেক্টরিতে সাবমিট করুন।
39. অন্য ব্লগগুলো আপনার ইন্টারভিউ বা সাক্ষাতকার প্রকাশের চেষ্টা করুন।
40. লিংকনির্ভর পোস্ট লেখার চেষ্টা করুন।
41. টপ লিস্টেড পোস্ট লেখার চেষ্টা করুন কারণ এগুলো সহজেই ভাইরাল হয়।
42. আপনার নিশে কাজ করা ভালো সাইটগুলোর সাথে তুলনামূলক পোস্ট লিখুন।
43. যারা ব্লগিং করতে চায় তাদের নিয়ে একটি ফিচার পোস্ট লিখুন। এগুলোও ভালো লিংক হবে।
44. আপনার নিশে অন্য ব্লগারদের সাথে কনটেন্ট বিনিময় করুন।
45. আপনার সাইটকে ডিমজ সহ অন্য ডিরেক্টরিগুলোতে সাবমিট করুন।
46. আপনার সাইটকে .এডু ও .গভ ফোরাম ও ব্লগে সাবমিট করুন। গুগল এসব সাইটকে অথরিটি সাইট হিসেবে প্রাধান্য দেয়, তাই এগুলো থেকে কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়া যায়।
47. গুগল গ্রুপ ও ইয়াহু গ্রুপগুলোর মতো জনপ্রিয় গ্রুপগুলো ব্যবহার করুন আপনার সাইটের প্রচারের মাধ্যম হিসেবে।
48. সম্ভব হলে একটি উইকিপিডিয়া পেজ খুলুন এবং এখানে আপনার রিসোর্স সেকশনের লিংকগুলো যুক্ত করুন।
49. টোকনোরাতি‘তে আপনার সাইটকে সাবমিট করুন। এটি আপনার ব্লগের র্যাংকে করতে বিশেষ গুরুত্ব পালন করে।
50. ‘দ্য আল্টিমেট’ টাইটেলে পোস্ট লিখুন, এগুলোর মাধ্যমে অনেক ব্যাকলিংক পাওয়া যায়।
ফেসবুকে আমার ব্লগের পোস্টের আপডেট পেতে আমার ফেসবুক পেজে লাইক দিন,
0 comments:
Post a Comment